সিসিটিভি ক্যামেরা প্রযুক্তির এমন একটি উদ্ভাবন যেটি সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি সেক্টরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ক্ষেত্রেই শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের মূল হাতিয়ার হলো CCTV ক্যামেরা।
সিসিটিভি ক্যামেরা হলো এমন একটি সিস্টেম যা কোন নির্দিষ্ট স্থানের অবজেক্ট অথবা ইভেন্টগুলোর সরাসরি ভিডিও ফুটেজ ধারণ, সংরক্ষণ এবং সম্প্রচার করে থাকে। যার ফলে কেউ একজন সহজেই তার অফিস অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথায় কি হচ্ছে অথবা কে কি করছেন এবং নিরাপত্তাজনিত কোন হুমকি রয়েছে কিনা তা সরাসরি মনিটরিং করে পারেন।
তাই প্রযুক্তির এই অনন্য উদ্ভাবন নিয়ে বর্তমান আধুনিক সমাজে মানুষের আগ্রহের সীমা নেই। এমনকি কেবল বহির্বিশ্বেই নয় বরং সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশেও CCTV ক্যামেরার প্রচার, প্রসার এবং ব্যবহার লক্ষণীয়। সুতরাং এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝে গিয়েছেন আমাদের আজকের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু কোথায়।
আজকে আমরা জানব সিসিটিভি ক্যামেরা কি, কত প্রকার, এর কাজ এবং ব্যবহার সহ বাংলাদেশের বাজারে এর বর্তমান মূল্য কেমন সে সম্পর্কে।
Table of Contents
সিসিটিভি ক্যামেরা কি ?
সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা বা ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (Closed Circuit Television) হলো এক প্রকার মিনি সার্কিট ক্যামেরা বা সিকিউরিটি সিস্টেম যা কোন স্থানের অভ্যন্তরীণ নজরদারির জন্য অথবা বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরূপ ক্লোজড-সার্কিট ক্যামেরাগুলো সাধারণত কোন স্থানের ছবি, ভিডিও এবং ক্ষেত্রবিশেষে অডিও ধারণ এবং সম্প্রচার করতে পারে। অর্থাৎ আপনার আশেপাশের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সিসি ক্যামেরা আপনাকে লাইভ তথ্য দিতে পারে এবং তা রেকর্ড করেও রাখতে পারে। ফলে যে সমস্ত স্থানে CC ক্যামেরা রয়েছে সে যমস্ত স্থানে যদি কেউ কোন দুষ্কর্ম করে থাকে অথবা কারার চেষ্টা করে থাকে তাহলে তা এই ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি এবং প্রয়োজনে যেকোন সময় নিরীক্ষণ করা যায়। যার ফলে কোন স্থানের নিরাপত্তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
বাণিজ্যিক ভাবে চল্লিশের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে সর্বপ্রথম CCTV ক্যামেরার ব্যবহার চোখে পড়ে। তবে সে সময়কার সেই ক্যামেরা গুলো বর্তমান সময়ের সিসি ক্যামেরা গুলোর মতো এত উন্নত এবং কার্যকর ছিল না। তখন এর কাজের মধ্যে ছিলো বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা। যেমন- সাদা-কালো ছবির বাহিরে রঙিন কোন ছবি ধারণ করতে না পারা, রাতের বেলা কোন ফুটেজ ধারণ করতে অপারগতা প্রভৃতি। তবে কালের ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হওয়ার কারণে সিসিটিভি ক্যামেরার স্ট্রাকচার এবং কাজ করার ক্ষমতায়ও এসেছে বিপুল পরিবর্তন।
আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে অনেক কম আলোতেও স্বচ্ছ ও রঙিন ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া রাতের বেলা অন্ধকারেও পরিষ্কার ছবি ধারণ করতে পারে। এমনকি রাস্তা ঘাট, রেলস্টেশনে কিংবা কোন খোলা জায়গায় যেকোন আবহাওয়ায় সঠিকভাবে ভিডিও রেকর্ড করার জন্য রয়েছে উন্নতমানের পাওয়ারফুল সিসি ক্যামেরা।
CCTV ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে ?
সিসিটিভি বা ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সরাসরি এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাধারণত প্রতিটি সিসি ক্যামেরা একটি কেন্দ্রীয় রেকর্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণকৃত তথ্য সমূহ সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে এসব তথ্য টিভি মনিটরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। একটি সিসি ক্যামেরার মূলত তিনটি অংশ রয়েছে। যেমন- লেন্স, সেন্সর এবং ডিএসপি (DSP) বা ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসর (Digital Signal Processor).
এক্ষেত্রে লেন্সের প্রধান কাজ হলো নির্দিষ্ট রঙের আলোর উপর প্রতিফলন সৃষ্টি করা এবং পরবর্তীতে সেন্সর সেই প্রতিফলিত আলোকে একটি ছবি হিসেবে ধারণ করে। এরপর সেন্সর থেকে এই ছবি ক্যামেরার ডিএসপিতে স্থানান্তরিত হয়। এবার ডিএসপি এই ছবিকে টেলিভিশন সিগনালে রূপান্তরিত করে এবং এই সিগন্যাল ইন্টারনেট এর সাহায্যে বেতার তারের মাধ্যমে সেন্ট্রাল রেকর্ডারের মধ্যে সংরক্ষণ করার জন্য প্রেরিত হয়। এরপর রেকর্ডারে সংরক্ষণ করা এই তথ্যগুলো-কে টিভি মনিটরের মাধ্যমে পরিদর্শন করা যায়। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা ক্যামেরার এই পুরো কার্যক্রমটি একটি নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
সিসি ক্যামেরার ফিচার, দাম এবং মডেলের উপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বের বাজারগুলোতে বর্তমানে অসংখ্য নিরাপত্তা ক্যামেরা রয়েছে। তবে CCTV ক্যামেরার মূল কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এবং কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে একে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ডোম ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, অ্যারে ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সিসি ক্যামেরা।
Dome Camera
ডোম ক্যামেরাগুলো সাধারণত কোন বদ্ধ জায়গায় যেমন- ঘর, অফিস অথবা দোকানে সেট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ডোমের মতো আকৃতি হওয়ার কারণে মূলত একে ডোম ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। এই ক্যামেরা গুলো সাধারণত ঘরের সিলিং এর কোণে কোণে স্থাপন করা হয় এবং এর ক্যামেরাটি কোন দিকে পয়েন্ট করা থাকে তা সাধারণ দৃষ্টিতে বোঝা প্রায় অসম্ভব। তাই সর্বাধিক শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই ক্যামেরাগুলো অনেক কার্যকর। এছাড়া এ ধরনের ক্যামেরায় অটো এলইডি লাইট ইন্সটল করা থাকে। যার ফলে রাতের বেলাতেও স্বচ্ছ ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে পারে।
Bullet Camera
ছোটা নলাকৃতির এই ক্যামেরাগুলো ওয়েদারপ্রুফ হওয়ার কারণে বাড়ির বাহিরে রাস্তা ঘাট, দেয়াল কিংবা ছাদে স্থাপন করা যায়। যেকোন আবহাওয়ায় এই ক্যামেরাগুলো রঙিন ও পরিষ্কার ভিডিও ক্যাপচার করতে পারে। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেলওয়েস্টেশন প্রভৃতি স্থানে নিরাপত্তা প্রদান এবং যেকোন দুর্ঘটনা পুনঃ নিরীক্ষণ করার জন্য বুলেট ক্যামেরাগুলো সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।
Array Camera
এ ধরনের ক্যামেরাগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে অনেক দূর পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব ভিডিও রেকর্ডিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই সাধারণত রাস্তার মোড়, বাসা-বাড়ি অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছাদ অথবা কোন উঁচু স্থান থেকে ভিডিও ক্যাপচারের জন্য অ্যারে ক্যামেরা সেট করা হয়ে থাকে।
Wifi CCTV Camera
যে সকল সিসিটিভি ক্যামেরাতে ওয়াইফাই প্রযুক্তি আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয় সেসব CC ক্যামেরাগুলোকে মূলত ওয়াইফাই সিসি ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। এ ধরনের ক্যামেরাগুলোর সাহায্যে কোন ভিডিও ফুটেজ বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে মোবাইল অথবা কম্পিউটার স্ক্রিনে পর্যবেক্ষণ করা যায়। ফলে আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার অফিস কিংবা বাসা বাড়িতে কি কি ঘটছে তা আপনি সরাসরি অন্য যেকোন জায়গায় বসে থেকে দেখতে পারবেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা প্রাইস
সময় যত পার হচ্ছে ততই যেন নিরাপত্তা মানুষের বর্তমান জীবনব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্ন। যে কারণে সমগ্র বিশ্বজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার গত কয়েক বছরে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বাংলাদেশেও বিগত সাত-আট বছরের মধ্যে সিসি ক্যামেরার জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। অফিস আদালত, দোকানপাট, সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ, শপিং মল, বাস স্টপ, রেলওয়ে স্টেশন, বড় বড় রাস্তার মোড়, হাসপাতাল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ছাড়াও সাধারণ বাসা-বাড়িও এখন এ ধরনের নিরাপত্তা ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
তাই চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এসব নিরাপত্তা পণ্যের উৎপাদন এবং বিপণনের হার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন ফিচার, মডেল ও দাম নিয়ে স্থানীয় বাজারগুলিতে সিসি ক্যামেরার রয়েছে তুমুল গ্রাহক প্রিয়তা।
তাই স্বাভাবিকভাবেই সিসিটিভি ক্যামেরার প্রাইস কত তা নির্দিষ্টভাবে বলা অনেক মুশকিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সর্বনিম্ন ৯৯০ টাকা দামের সিসি ক্যামেরার চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনি ৯৯৯৯ টাকা দামের সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজের বিক্রয়ও কম নয়। এমনকি এর থেকে বেশি মূল্যের ক্যামেরা এবং ক্যামেরার প্যাকেজের চাহিদাও এখন ভরপুর।
এ পর্যায়ে আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ বিভিন্ন মডেল এবং ব্রান্ডের সিসি ক্যামেরার মধ্য থেকে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং ব্যবহার উপযোগী বিশেষ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার মডেল নাম, ফিচার এবং দাম সহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করা হলো।
1. MVR6330S-A6 V380 3MP Fisheye 360 Degree Wi-Fi CC Camera
Features:
- Viewing angle 360 degree
- 3MP CMOS Sensor
- Night vision
- Full HD video resolution up to 2048×1536
- Built-in speaker and microphone
- Micro SD card support
৳ ২, ৫০০
2. Hikvision DS-2CE56C0T-IRP 1MP HD IR Fixed Turret Camera
Features:
- HD 720p turret camera
- Smart IR: up to 20 m IR distance
- Water and dust resistance (IP66)
- 4 signals switchable TVI/AHD/CVI/CVBS
৳ ১, ১৫০
3. Dahua HAC-HDW-1200RP 2MP DOME Camera
Features:
- Sensor: 1/2.7″ CMOS, ICR
- Lens: 3.6mm
- Up to 20m IR range
৳ ১, ৪৫০
4. Dahua HAC-B1A21P 2MP HDCVI IR Bullet Camera
Features:
- Max. 30fps@1080P
- HD and SD output switchable
- 3.6mm fixed lens
- Smart 20m IR range
৳ ১, ৫০০
5. Hikvision DS-2CE16D0T-IP ECO 2MP Bullet CC Camera
Features:
- 2MP CMOS Image Sensor
- OSD menu, DNR, DWDR
- True Day/Night
- Analog HD output
- 20m IR distance, IP66
৳ ১, ৬০০
6. Hikvision Ezviz C6N Smart Wi-Fi Pan Camera
Features:
- Privacy shutter
- Auto night vision
- Wi-fi connectivity
- Motion detection smart alarm
- EZVIZ cloud proprietary protocol
৳ ২, ৫৪০
7. Jovision JVS-N815-YWC H.265 2MP Indoor / Outdoor Camera
Features:
- 2 MP Sensor
- Maximum 1920×1080
- Night vision
- HD video recording
- Waterproof
- Up to 25 meters coverage
৳ ৩, ০০০
8. A9 Wi-Fi Night Vision Mini IP Camera
Features:
- 180 degree viewing angle
- night vision
- Wi-Fi support
- 60 minutes continuous recording
- maximum 128GB memory card capacity
- 2MP CMOS Sensor
৳ ৯০০
9. HIK-Vision CCTV Camera 4 Channel
Features:
- 4 Channel DVR
- 4 Camera
- 1TB HDD
- 24×7 Video Recording
- 30 days Video Backup
- Night Vision Video
- HD Quality Video
- 1 Year Warranty
৳ ২১, ০০০
10. CCTV Package with Dahua 8CH DVR and 6 PCS Camera
Features:
- 8 channel
- 6 piece camera
- High quality video recording capacity
- Long distance coverage
- Wired
৳ ২২,৫২০
11. HIK-Vision CCTV Camera 2 Channel
Features:
- HD Quality Video
- Night Vision Video
- 30 days Video Backup
- Long distance Coverage
- 1 Year warranty
৳ ১৫,০০০
12. Jovision JVS-N410-YWS H.265 4MP Network Camera
Features:
- Image Sensor 1/3″ 4MP CMOS Sensor
- 4MP Resolution
- Effective Pixels 2592*1520
- Compression H.265/H.264/JPEG/AVI
৳ ৪, ৯০০
বর্তমান কালের বাজারের প্রেক্ষাপটে ১২টি সিসি ক্যামেরার এই লিস্ট-টি খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে একজন ক্রেতার জন্য বেসিক ধারণা হিসেবে যথেষ্ট। এই লিস্টে সবথেকে ভালো ব্রান্ড এবং মার্কেটের সবথেকে বেশি চাহিদাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার মডেলগুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে ।
এখান থেকে আপনার প্রয়োজন, চাহিদা এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি প্রোডাক্ট পছন্দ করতে পারেন এবং নিকটস্থ শপিং মল কিংবা অনলাইন থেকে নির্ধারিত দামে ক্রয় করে নিতে পারেন।
একজন ক্রেতা হিসেবে CCTV ক্যামেরা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই এর উপাদানগুলো অর্থাৎ লেন্স, সেন্সর, ডিএসপি এবং রেজ্যুলেশন চেক করে নিবেন। এছাড়া আপনি যদি ওয়াইফাই সম্পন্ন ক্যামেরা ক্রয় করতে চান তাহলে সেটিও পরীক্ষা করে নিবেন।
আপনার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঠিক একটি ক্যামেরা নির্বাচন করুন। যেমন- ডোম ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, ওয়াইফাই ক্যামেরা, ডে/নাইট ক্যামেরা, আইপি অথবা আইআর ক্যামেরা। তবে এককথায় বললে, যেকোন ইনডোর ব্যবহারের জন্য ডোম ক্যামেরা এবং আউটডোর ব্যবহারের জন্য বুলেট ক্যামেরা সবথেকে ভালো চয়েজ। আর যদি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা কোন স্থানে ভিডিও রেকর্ডিং চলমান রাখতে চান তাহলে ডে/নাইট ক্যামেরা ক্রয় করুন।