গুগল সম্পর্কে ২৭ টি অজানা তথ্য – গুগলের রহস্য

গুগলের রহস্য

গুগল নামটি আমাদের কারোই অজানা নয়। পৃথীবিব্যাপী তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের পেছনে রয়েছে গুগলের বিশাল ভূমিকা। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যাবহার করা প্রতিটি ব্যাক্তি কমপক্ষে একবার গুগলে সার্চ করেছে।গুগল কে অধিকাংশ মানুষ চেনে একটি সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে। কিন্তু গুগল এখন আর শুধু সার্চ ইঞ্জিনের ভেতরেই সিমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে প্রায় ছোট-বড় ২০০ টি কোম্পানির মালিক গুগল, তো বুঝতেই পারছেন গুগলের বিস্তার কত দূর পর্যন্ত ঘটেছে।

গুগল বর্তমানে কাজ করছে: রোবট, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স , সেল্ফ ড্রাভিং কার, ক্লাউড, সফটওয়্যার, এনড্রয়েড, অ্যাপস, বিজ্ঞাপন, পেমেন্ট সলিউশন, ফিনান্স সহ আরো অসংখ্য জানা অজানা সেক্টরে।২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী গুগলে মোট কর্মীসংখ্যা প্রায় ১,১৪,০৯৬। এই পরিসংখ্যাণটি থেকেই বোঝা যায় গুগলের বিস্তার সম্পর্কে।

গুগল সম্পর্কে অজানা তথ্য

নাম্বার-১: গুগলের প্রথম নাম রাখা হয়েছিলো (ব্যাকরাব)।

নাম্বার-২: গুগল শুরু হয়েছিলো তাঁদের কোম্পানির এক কর্মচারী (Susan Wojcicki ) এর  গ্যারেজে। ( Susan Wojcicki ) ছিলো গুগলের ১৬ তম কর্মচারী এবং তখন সে গুগলের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত ছিলো। ( Susan Wojcicki ) এখন বর্তমানে ( YouTube ) এর ( CEO ) । 

নাম্বার-৩: ১৯৯৯ সালে গুগল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মাত্র ১ মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু কেউ কেনার আগ্রহ দেখাইনি, শেষমেষ দাম কমিয়ে ৭৫০,০০০ ডলার চাওয়া হয় তবুও কেনার মতো ক্রেতা পাওয়া যায়নি । (Yahoo) কে তখন অফার করা হয়েছিলো গুগল কিনে নেবার জন্য, (Yahoo) কিনতে রাজি হয়নি কিন্তু ২০০২ সালে এসে যখন গুগলের ভ্যালু দাঁড়ালো ৩ বিলিয়ন ডলারে তখন (Yahoo) গুগল কিনে নেয়ার অফার জানালো, তখন গুগল বেঁচতে রাজি হয়নি। অথচ আজকে এই গুগলের মূল্য প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার সেই সাথে (Yahoo) তাঁদের মার্কেট হারিয়েছে তা আমরা প্রায় সবাই জানি।

 নাম্বার-৪: গুগল তাঁদের সর্ব প্রথম ডেটা সেন্টার চালু করেছিলো মাত্র ৪০ জিবি হার্ডডিস্ক দিয়ে শুধু তাই নয়, তাঁদের ডেটা সেন্টারের কেস ডিজাইন করেছিলো ( লেগো বল্ক ) খেলনা দিয়ে, এতে অবাক হবার কিছুই নেই কারণ গুগল যারা তৈরি করেছিলো তাঁদের আর্থিক অবস্থা তখন ভালো ছিলো না।

নাম্বার-৫: ২০০১ সালে গুগলে প্রথম ইমেজ সার্চ চালু হয়। প্রথম দিনেই প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ইমেজের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নাম্বার-৬: ২০০৬ সালে গুগল ক্যালিফোর্নিয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফ্রি ওয়াইফাই সরবারহ করার ব্যবস্থা করেন। অবশ্য এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো, যাতে করে আরো বেশি লোক গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেতে পারে।

নাম্বার-৭: ২০০৬ সালে ওয়াক্সফোর্ড ডিকশনারিতে (Google) শব্দটি যোগ হয়, যা ছিলো গুগলের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

নাম্বার-৮: গুগলের স্লোগন ছিলো- “কখনো মন্দ হবেন না”

নাম্বার-৯: গুগলের প্রথম টুইট ছিলো বাইনারি কোডে (“I’m feeling lucky”) 

নাম্বার-১০: গুগলে প্রতিদিন যে সার্চ হয়, তাঁর ১৬% – ২০% আগে কখনো সার্চ হয়নি, অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিওয়ার্ড সার্চ হয়।  

নাম্বার-১১: গুগলের হোমপেজ রয়েছে প্রায় ৮০ টি ভাষায়।

নাম্বার-১২: ২০১৪ সালে গুগলের ৮৯% আয় আসে গুগল এডভার্টাইজিং থেকে।

নাম্বার-১৩: গুগলের ৫১% – ৬০% সার্চ আসে মোবাইল থেকে।

নাম্বার-১৪: সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে ১৯৯৭ সালে ( google.com ) ডোমেইনটি রেজিস্টার হয়। পরে অবশ্য গুগল অসংখ্য ডোমেইন রেজিস্টার  করেছে।

নাম্বার-১৫: গুগলের হেডকোয়ার্টারে রয়েছে অসংখ্য ছাগল, কেননা গুগল সবুজ উদ্যোগকে সমর্থন করে, এর জন্য গুগলের হেডকোয়ার্টরে রয়েছে বিশাল বড় এরিয়া এবং সুন্দর ঘাসের বাগান।

নাম্বার-১৬: গুগল পৃথিবীর সব থেকে বেশি ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইট।

 নাম্বার-১৭: গুগল তৈরি করেছিলো দুই কলেজ ছাত্র, ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন তাঁদের কলেজ জীবনে গুগল তৈরি করেন।

নাম্বার-১৮: গুগলের হেডকয়ার্টারের নাম গুগলপ্লেক্স।

নাম্বার-১৯: গুগল বিশ্বাস করে, ভালো ঘুম হলে কর্মীরা ভালো পারফরমেন্স করবে, তাই গুগল হেডকর্য়াটারে রয়েছে বিশ্রাম এবং রিলাক্সে মিউজিক শোনার ব্যাবস্থা, যাতে করে কর্মীরা ক্লান্ত হয়ে গেলে কিছুক্ষণের জন্য পাওয়ার ন্যাব নিতে পারে।

নাম্বার-২০: গুগল তাঁদের কর্মীদের বিনামূল্যে খাবার প্রদান করে। 

নাম্বার-২১: গুগলে অফিসে তাঁদের কর্মীরা কুকুর, বিড়াল সাথে নিয়ে আসতে পারে।

নাম্বার-২২: ২০০৪ সালের এপ্রিলের ১ তারিখে গুগল জিমেইল সেবা চালু করে, কিন্তু সবাই ভেবেছিলো গুগোল এপ্রিল ফুল প্রাঙ্ক করছে।

নাম্বার-২৩: গুগলের বর্তমান প্রধান: সুন্দর পিচাই, যে কিনা একজন ভারতীয়।

নাম্বার-২৪: একটি কোম্পানির একটিই জন্মদিন থাকে, কিন্তু গুগলের রয়েছে প্রায় ছয়টি জন্মদিন তবে, ২৭ সেপ্টেম্বরকেই গুগলের আসল জন্মদিন ধরা হয়।

নাম্বার-২৫: ২০০৬ সালে গুগল (Youtube) কে কিনে নেয় ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।

নাম্বার-২৬: যদি কোন ব্যাক্তি গুগলে চাকরী অবস্থায় মারা যায় তবে তাঁর পরিবারকে ১০ বছরের বেতন দেয়া হয়ে থাকে।

নাম্বার-২৭: একটা রিপোর্টে দেখা গেছে, গুগলে ৩ ভাগের ১ ভাগ সার্চ হয় শুধুমাত্র বানান শুধরে নেবার জন্য।এই ছিলো গুগল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য আশা করি ব্লগটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যদি ব্লগটি পড়ে কিছু শিখে থাকেন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য্য সহকারে আইটি কথার সাথে থাকার জন্য।

Leave a Comment