কম্পিউটার সাধারণত বেশ কয়েকটি ধাপে তার কার্য সম্পাদন করে থাকে। কম্পিউটারের কাজ করার প্রক্রিয়া গুলোকে সহজভাবে তিনটি ধাপে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো-
- নির্দেশনা গ্রহণ
- প্রসেসিং বা সম্পাদন
- প্রদর্শন
নির্দেশনা গ্রহনঃ এ ধাপে কম্পিউটার তার মূল ইউনিট এর সাথে যুক্ত থাকা বিভিন্ন ডিভাইসের থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা বা কমান্ডগুলো গ্রহণ করে থাকে।
প্রসেসিং বা সম্পাদনঃ নির্দেশনা গ্রহন শেষে কম্পিউটারটি প্রাপ্ত নির্দেশনা বা কমান্ডগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং একটি ফলাফল তৈরি করে। প্রসেসিং এর কাজে সফটওয়্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রদর্শনঃ এ ধাপটি কম্পিউটারে কার্যক্রমের শেষ ধাপ। এ ধাপে এসে কম্পিউটার তার প্রাপ্ত ফলাফল সমূহকে বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর নিকট প্রদর্শন করে থাকে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে এভাবেই একটি কম্পিউটার তার কাজ করে থাকে। তবে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরী যে, আমাদের বিভিন্ন ভাষায় দেয়া কমান্ডগুলো কম্পিউটার বুঝতে পারেনা। এজন্য যন্ত্রটি এসব নির্দেশনাগুলোকে বোঝার জন্য মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজে কনভার্ট করে নেয়। এরপর যন্ত্রটি এগুলোকে প্রসেসিং করে এবং পুনরায় নিদিষ্ট ফরমেটে আমাদের নিকট প্রদর্শন করে।
কম্পিউটারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
বর্তমানে আধুনিক কম্পিউটারগুলোর কাজের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে এগুলোকে সময়ের সেরা ডিভাইস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আসুন তাহলে কম্পিউটারের সুপার পাওয়ার কোয়ালিটি গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
দ্রুতগতিঃ কম্পিউটার তার প্রসেসিং ইউনিট এর মাধ্যমে এত দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে যা অকল্পনীয় বিষয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- কম্পিউটারে যে কাজটি ১ সেকেন্ডে করতে পারে তা করতে একজন মানুষের কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। দ্রুত গতিতে কাজ করার ক্ষমতা মূলত এর সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর উপর নির্ভর করে। এটি যত উন্নত ও শক্তিশালী হবে কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতাও তত বৃদ্ধি পাবে।
নির্ভুলভাবে কাজ করার ক্ষমতাঃ মজার ব্যাপার হলো অসম্ভব দ্রুত গতিতে কাজ করার সাথে সাথে সম্পাদন করা কাজগুলো সব নির্ভুল হয়ে থাকে। যা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করার ক্ষমতাঃ সঠিক ব্যবস্থা থাকলে কোন কম্পিউটার ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যেতে পারে। এর কারণে এর কার্যক্রমে কোন প্রকার প্রভাব পড়ে না বললেই চলে।
যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ কম্পিউটারের মূল প্রসেসিং ইউনিট মূলত সবসময়ই লজিকের উপর ভিত্তি করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই এটি যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।
স্বয়ংক্রিয়তাঃ ঠিকভাবে কমান্ড দেখা গেলে কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজে নিজেই চলতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন নজরদারি কাজে এটি ব্যবহার করা সম্ভব।
আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে কম্পিউটার সম্পর্কে অনেজ অজানা কিছু জানতে পারলেন। আবার পরবর্তীতে কথা হবে অন্য কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।