টর ব্রাউজার কি? Tor Browser এর কাজ কি?

সময় যত সামনের দিকে এগোচ্ছে এবং ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা যত বাড়ছে ততই অনলাইন দুনিয়ায় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অনলাইন হ্যাকার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং বিভিন্ন কর্পোরেশন ও সরকারী ইস্যুর কবলে পড়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। তাই অনলাইনে নিজের আত্মপরিচয় গোপন রেখে internet browsing করার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। যদিও পরিচয় গোপন রাখার এই সমস্ত ফিকির একসময় কেবল ক্রিমিনালদের দ্বারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হতো, এখন সাধারণ ইন্টারনেট ইউজারদের জন্যেও সেফ ব্রাউজিং নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। 

তাই যারা বিভিন্ন ব্যক্তিগত কিংবা অফিসিয়াল কাজের জন্য ইন্টারনেটের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল এবং এক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য টর ব্রাউজার একটি সহজ এবং তাৎক্ষণিক সমাধান। টর ব্রাউজার অনলাইনে একজন ব্যবহারকারীর সম্পূর্ণ পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট এক্সেস করার সুবিধা প্রদান করে। যদিও এই সুযোগটি ব্যবহার করে অপরাধীরা পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ সম্পাদন করে থাকে, সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও এর থেকে অনেক সুবিধা ও প্রয়োজনীয় অনেক সেবা গ্রহণ করতে পারে।  

তাহলে চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক, টর ব্রাউজার কি, Tor Browser এর কাজ কি, টর ব্রাউজার কিভাবে কাজ করে এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা সহ আরও অনেক কিছু কেবল এই একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে। সুতরাং আর্টিকেলটির শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো। তো চলুন প্রথমেই জেনে নেই Tor browser কি।

টর ব্রাউজার কি?

The Onion Router (TOR) বা সংক্ষেপে Tor browser হলো এক ধরনের ইন্টারনেট ব্রাউজার যেটি একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে অনলাইনে তার সম্পূর্ণ পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার সুবিধা প্রদান করে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একজন ইন্টারনেট ইউজার তার IP Address গোপন রেখে ইন্টারনেটে যেকোন গোপন সাইট বা তথ্য এক্সেস করতে পারেন।  Tor browser হলো সম্পূর্ণরূপে ফ্রি এবং একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার যেটি কিনা পরিপূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে যেকোন ওয়েব ব্রাউজিং করতে সহায়তা করে। এটি ইন্টারনেটে করা প্রতিটি ব্রাউজিং হিস্ট্রি যেমন মুছে ফেলে তেমনি ইন্টারনেটে আপনার সকল ট্রাফিক এনক্রিপটেড করে রাখে। 

এভাবে টর ব্রাউজার ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ডার্ক ওয়েব (Dark Web) কোনরূপ ঝামেলা ছাড়াই ব্রাউজ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। অর্থ্যাৎ অন্যান্য সাধারণ ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি যখন কোন blocked এবং un-indexed ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে অক্ষম, tor browser ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই ঐ সমস্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। তবে যেহেতু টর ব্রাউজার একজন ইন্টারনেট ইউজারকে নিঃশর্তে এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web- WWW) এক্সেস করতে সহায়তা করে, তাই ইন্টারনেটে অপরাধমূলক কাজ নিরোধনের জন্য বিশ্বের কিছু কিছু দেশে টর ব্রাউজার অভ্যন্তরীণভাবে নিষিদ্ধ অর্থ্যাৎ blocked.

টর ব্রাউজার মূলত টর নেটওয়ার্ক (Tor Network) প্রকল্পের একটি অংশ। টর নেটওয়ার্ক সর্বপ্রথম মার্কিন নৌবাহিনী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল যেন বিভিন্ন সামরিক সংস্থাগুলি অনলাইনে তাদের গোপনীয়তা বজায় রেখে যোগাযোগ করতে পারে এবং গবেষণা সম্পাদন করতে পারে। কিন্তু ২০০৬ সালে মার্কিন নৌবাহিনী তাদের এই প্রকল্পটি বাদ দেয় এবং তখন থেকে এই প্রজেক্টটি একটি non-profit সংগঠন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এই টর প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য হলো এই Tor browser এর ডেভেলপমেন্ট এবং সেই সাথে আরও অন্যান্য কিছু অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন tools এর সম্প্রচার ও সম্প্রসারণ।

Tor Browser এর কাজ কি

টর ব্রাউজার বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী একটি ওয়েব ব্রাউজার। এই ব্রাউজারের মূল কাজ হলো অনলাইনে একজন ব্যবহারকারীর শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এছাড়াও এই ব্রাউজার আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। যেমন- 

  • ব্যবহারকারীর আইপি (IP) হাইড করা। অর্থ্যাৎ অনলাইনে ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা।
  • অনলাইন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকল কুকি এবং ব্রাউজিং হিস্ট্রি মুছে ফেলা। 
  • Blocked এবং un-indexed ওয়েবসাইট টর ইউজারের জন্য unblock করা।
  • সম্পূর্ণ ফ্রি ব্রাউজিং সেবা প্রদান করা।
  • অনলাইন হ্যাকার এবং ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের নিকট থেকে ইন্টারনেট ইউজারদের সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখা।

টর ব্রাউজার কিভাবে কাজ করে

টর নেটওয়ার্কের প্রধান লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে একজন ব্যক্তির শতভাগ প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি নিশ্চিত করা। যেটি টর ব্রাউজার একজন টর ইউজারের আইপি হাইড করার মাধ্যমে করে থাকে। Tor browser- এর কিছু নির্দিষ্ট টর সার্ভার রয়েছে যেগুলোকে কখনও কখনও nodes অথবা relay-ও বলা হয়ে থাকে। যেমন টর ব্রাউজারের প্রধান নোডগুলোর নাম হলো:

  • টর নেটওয়ার্ক নোড (Tor network node)
  • ক্লায়েন্ট নোড (Client node)
  • এন্ট্রি নোড/ গার্ড নোড (Entry/ Guard node)
  • রিলে নোড (Relay node)
  • এক্সিট নোড (Exist node)

সর্বপ্রথম একজন টর ইউজারকে tor নেটওয়ার্ক এর মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। এরপর সেখান থেকে ঐ ব্যবহারকারী যখন কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজিং এর জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায় তখন সেটি ক্লায়েন্ট নোড থেকে এন্ট্রি নোডে প্রবেশ করে এবং ঐ মুহূর্তে ব্যবহারকারীর সমগ্র ডাটা ও ট্রাফিক সম্পূর্ণভাবে এনক্রিপটেড (encrypted) হয়ে যায়। 

অর্থাৎ সকল ট্রাফিক নির্দিষ্ট কিছু কোডে রূপান্তরিত হয়ে যায় যেগুলো তখন কোন হ্যাকার বা এরূপ কোন লোকের দ্বারা ট্র্যাক করা অসম্ভব হয়ে পরে। এরপর এসব এনক্রিপটেড ডাটা সমূহ বিভিন্ন রিলে নোড অতিক্রম করে exit node-এ প্রবেশ করে। এরপর এই ডাটাগুলো এখানে ডিকোড হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট ওয়েব পেজটি ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায় তার সম্পূর্ণ পরিচিতি গোপন রেখেই। 

এভাবে টর ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ট্রাফিকগুলোর বিভিন্ন আলাদা আলাদা নোডের মধ্য দিয়ে এনক্রিপটেড হওয়ার কারণে ব্যক্তির আসল পরিচয় ট্র্যাক করা খুবই কঠিন এবং বলতে গেলে প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে।  

Tor browser এর সুবিধা ও অসুবিধা

টর ব্রাউজার ব্যবহারে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে তেমনি অনেক অসুবিধাও রয়েছে। তাই এ পর্যায়ে আমরা কথা বলবো টর নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সকল সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। তো প্রথমেই চলুন tor browser এর সুবিধা সমূহ জেনে নেয়া যাক।

টর ব্রাউজারের সুবিধা

  • স্বাধীনভাবে যেকোন জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। 
  • অনলাইনে নিজের আইপি হাউড রেখে অনলাইন হ্যাকার এবং ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের নজর থেকে দূরে থাকা যায়। 
  • সর্বসাকুল্যে ইন্টারনেটে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখা যায়। 
  • যেখানে ব্লক ওয়েবসাইট যেকোন জায়গা থেকে ব্রাউজ করা যায়। 
  • টর ব্রাউজার সম্পূর্ণ ফ্রি একটি সফটওয়্যার।
  • এটি ইংরেজি ছাড়াও আরও অনেক ভাষা সাপোর্ট করে।
  • টর ব্রাউজারের উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাক সংস্করণ এখন সবার জন্য উন্মুক্ত।
  • সামরিক, প্রশাসন কিংবা ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ কোন গোপন গবেষণা পরিচালনা করতে চান তাহলে টর নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সহজেই সম্পূর্ণ গোপনভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট পরিচালনা করা সম্ভব। 
  • টর ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন dark web ভিজিট করা সম্ভব।
  • জার্নালিস্টস কিংবা পলিটিক্যাল activists তাদের গবেষণার গোপন সোর্সগুলোকে tor network এর মাধ্যমে যেকোন ধরনের ট্র্যাকিং থেকে প্রোটেক্ট করতে পারে। 

টর নেটওয়ার্ক ব্যবহারে এরূপ আরও অনেক সুবিধা থাকলেও এটিও পুরোপুরিভাবে একজন ব্যবহারকারীর জন্য নিরাপদ নয়। তো চলুন তাহলে জেনে নেই টর ব্রাউজার ব্যবহারে অসুবিধাগুলো কি কি।

  • টর ব্রাউজারের মাধ্যমে dark web এক্সেস করা সবসময় নিরাপদ নয়। কেননা বেশিরভাগ ডার্ক ওয়েব ববিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক এবং অশ্লীল কাজের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।
  • Tor browser সহজেই যেকোন ডিভাইসে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
  • টর নেটওয়ার্কে এমন অনেক ওয়েবসাইট অথবা লিংক রয়েছে যেগুলোতে ভিজিট করা সম্পূর্ণ অনিরাপদ। এগুলো অনলাইন হ্যাকার (hacker) এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের তরফ থেকে তৈরি করা এক ধরনের ফাঁদ। যেগুলো সহজেই আপনার ডিভাইস এবং ডিভাইসে থাকা ডাটা সমূহ হ্যাক করতে পারে।
  • এছাড়া ডার্ক ওয়েবসাইটগুলোতে যেহেতু সাধারণত ড্রাগ ব্যবসা, পাইরেটেড মুভি সম্প্রচার, এবং বিভিন্ন ধরনের দেশি অথবা আন্তর্জাতিক ক্রাইম পরিচালনা করা হয় সেহেতু এসমস্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করা নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ।
  • Tor browser সবসময় ব্যক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম নাও হতে পারে। 
  • ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে টর ব্রাউজার অন্যান্য সাধারণ ব্রাউজারের তুলনায় কিছুটা স্লো হতে পারে। কেননা টর নেটওয়ার্কে যেহেতু একটি অনলাইন ট্রাফিক অনেকগুলো নোড অতিক্রম করে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছায় তো সেক্ষেত্রে এর ব্রাউজিং স্পিড অনেক সময় হ্রাস পেতে পারে।

টর ব্রাউজার ব্যবহারে যে ঝুঁকিগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে আশা করি এতক্ষণে সহজেই বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং এই ধরনের ব্রাউজার ব্যবহারের পূর্বে নিজের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন-

  • কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন যে ডিভাইস থেকেই টর ইউজ করবেন না কেন সে ডিভাইসে অবশ্যই আগে থেকে একটি শক্তিশালী এন্টিভাইরাস (antivirus) সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখবেন। যাতে করে আপনার ডিভাইস প্রয়োজনের সময় ম্যালওয়্যার (Malware) প্রোটেকশন দিতে পারে।
  • টর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ভালো মানের এবং সিকিউর ভিপিএন (VPN) ইউজ করুন। এর ফলে আপনার আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) হাইড হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সন্দেহ থাকবে না।
  • নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত  ওয়েবসাইট ব্যতীত অন্য যে কোন ওয়েবসাইট টর ব্রাউজার দ্বারা browsing করা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে ডার্ক ওয়েব।

এরূপ সতর্কতা মেনে চললে যে কেউ সহজেই টর ইন্টারনেট ব্রাউজার এর কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের ট্যাকিং (tracking), হ্যাকিং (hacking), নজরদারি এবং সেন্সরশিপ ছাড়াই স্বাধীন ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। তবে মোদ্দাকথা এই যে, সকল নেতিবাচক দিক এবং চিন্তাভাবনা এড়িয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে টর ব্রাউজার এর সঠিক এবং legal প্রয়োগ ঘটনোই বুদ্ধিমানের কাজ।

টর ব্রাউজার অনলাইন প্রাইভেসি এবং প্রোটেকশনের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী প্রোগ্রাম। টর প্রত্যেক ইন্টারনেট ইউজারকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করতে সক্ষম। কিন্তু একটি কথা মনে রাখা খুবই জরুরি যে, টর ব্রাউজার প্রদত্ত প্রাইভেসি সর্বদা শতভাগ কার্যকর হবে এমনটি নয়। সুতরাং সেক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে যে, Tor network ব্যবহার করার সময় সর্বদা একটি মানসম্মত VPN ইউজ করা।

এছাড়া নিজের ডিভাইসকে যেকোন malware-এর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য ডিভাইসে সবসময় একটি ভালো মানের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখবেন এবং dark web এক্সেস করা থেকে বিরত থাকবেন।তবে সর্বোপরি আপনি যদি নিজেই নিজেকে সঠিক প্রোটেকশন দিতে পারেন তবে tor browser স্বাধীনভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ফ্রি ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে best একটি ওয়েব ব্রাউজার। 

Leave a Comment